গান্ধীজির ভাবনায় ভবিষ্যতের পথচলা, মহিষাদলে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো স্মারক বক্তৃতা সিরিজ

9eee9a33-2e4d-468b-a521-e53764a530d8

নিজস্ব সংবাদদাতা, মহিষাদলঃ মঙ্গলবার মহিষাদলের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, যার নাম “মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল লেকচার সিরিজ – এক”। এটি ইতিহাস বিভাগের এক অনন্য উদ্যোগ, যার মাধ্যমে শুরু হলো একটি নতুন ধারার ভাবনাচর্চা। এই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জীবনদর্শন, আত্মশুদ্ধি, অহিংসা এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। শিক্ষা, সমাজ এবং নৈতিকতার সংমিশ্রণে অনুষ্ঠানে উঠে এলো এক চিন্তাশীল আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৌরাংশু মুখোপাধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা শুধু সনদ নয়, শিক্ষা হলো আত্মার আলোর পথ। আজকের সময়ে গান্ধীজির মতাদর্শই আমাদের আশ্রয়। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রূপ কুমার বর্মন। তিনি বলেন, গান্ধীজির চিন্তা আজও আমাদের সমাজে প্রাসঙ্গিক। অহিংসা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নৈতিকতা ছাড়া কোনো সমাজ টিকে থাকতে পারে না। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক শ্রী তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিশা দেখাবে এবং ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার দে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, তার গঠন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক, গবেষক এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষত ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা এই অনুষ্ঠানকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছে এবং এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়কারীরা ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অতিথি অধ্যাপক সৌম্যদীপ খন্ডা এবং অধ্যাপক বিমলেস মান্না। তাঁদের পরিকল্পনা, নিষ্ঠা এবং পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। এই বক্তৃতা সিরিজ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। আগামী দিনেও এই ধরনের চিন্তাশীল এবং মূল্যবোধনির্ভর বক্তৃতামালা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠ্যভিত্তিক শিক্ষা নয়, নৈতিকতা ও মননের শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়ে চলেছে, যা ভবিষ্যৎ সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


You may have missed

Enable Notifications OK No thanks
Verified by MonsterInsights