বিশ্বজিৎ নাথঃ টিটাগড় পুরসভা নির্মিত পার্ক উদ্বোধনে এসে হামলার শিকার হলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা থানার টিটাগড় ইঞ্চি রোড এলাকায়। এদিন পার্ক উদ্বোধনে পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী ও দমদম-ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভানেত্রী সোনালী সিংহ রায় হাজির ছিলেন। অভিযোগ, পার্কের উদ্বোধন শেষে বেরিয়ে আরেকটি অনুষ্ঠানে যাবার সময় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালায় একদল যুবক। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি টিটাগড় পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ইঞ্চি রোড এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। ঘটনার তদন্তে আসেন নগরপাল মনোজ বর্মা, যুগ্ম নগরপাল ক্রাইম অজয় ঠাকুর, উপনগর পাল ( দক্ষিণ) অজয় প্রসাদ-সহ কমিশনারেটের অন্যান্য অধিকারিকরা। বিধায়ক আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমদম-ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিক, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, বীজপুর ও জগদ্দলের বিধায়ক যথাক্রমে সুবোধ অধিকারী ও সোমনাথ শ্যাম। আক্রান্ত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, টিটাগড়ে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। তা মানতে পারছে না এখানকার দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি দুষ্কৃতীদের ঘৃণা করেন। এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, টিটাগড়ে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য তিনি বন্ধ করবেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে কি গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বেলায় টিটাগড় গান্ধীমোড়ে তৃণমূল কর্মী অজয় মরিয়াকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল যুব নেতা বিকাশ সিং ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই ঘটনায় অজয় মরিয়া দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পায়নি। এতেই হয়তো রেগে ছিলেন তৃণমূল কর্মী অজয়। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই হামলার ঘটনা বলে একাংশের দাবি। অভিযোগ উঠেছে, এদিন বিকেলে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী অজয় মরিয়া। যদিও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর দাবি, দুষ্কৃতীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে।