৬০০০ দুষ্প্রাপ্য পুঁথি ডিজিটাইজেশানের উদ্যোগ ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের


ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে হাওড়ার সাবেক চতুষ্পাঠীতে থাকা প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি তা ডিজিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মহাভারতের উপর অর্জুন মিশ্রের সম্পূর্ন টীকা, জয়দেবের রতিশাস্ত্রের মতো বহু দুষ্প্রাপ্য ও অমুদ্রিত পুঁথি। এগুলির ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ হলে গবেষকদের কাজের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা।
হাওড়ার সংস্কৃত সাহিত্য সমাজে এই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী, ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র, হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজের সম্পাদক ড. দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ও অন্যতম সহ-সভাপতি তথা পুঁথি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপিকা ড. রত্না বসু। দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানে রামায়ণ ও মহাভারত তো রয়েইছে এছাড়াও রয়েছে দর্শন, ব্যাকরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় হাজার ছয়েক পুঁথি। সেগুলি ডিজিটাইজেশানের কাজ শুরু হয়েছে। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র বলেন, “শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন গ্রন্থ উদ্ধার, পুনর্মুদ্রণ, সংরক্ষণ, ডিজিটাইজেশন ও গবেষণা করে আসছি। এক্ষেত্রেও আমরাই এগিয়ে এসেছি এইসব পুঁথি সংরক্ষণে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী ও ডঃ রত্না বসুর তত্ত্বাবধানে ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার থেকে তিনটি স্টিলের আলমারিও এই কাজের জন্য প্রদান করা হয়েছে। লক্ষ্য এই প্রাচীন পুঁথিগুলিতে যা রয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ভবিষ্যতে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের তরফ থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে, যেখানে পাঠক ও গবেষকরা পুঁথিগুলি পড়তে পারবেন। রত্না বসু বলেন, এই উদ্যোগ প্রাচীন জ্ঞান সংরক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ডক্টর নির্মাল্য নারায়ন চক্রবর্তী বলেন,তিন বছরের মধ্যে এই ৬০০০ পুঁথি সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশানের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


Verified by MonsterInsights