রাজ্যের প্রখ্যাত হোমিও চিকিৎসক অশোক কুমার প্রধানের পরিচয় দিতে গিয়ে সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন তাঁর কিংবদন্তি মহামানব ডা: অশোক কুমার প্রধান গ্রন্থে লিখেছেন, ৭০ এর দশকে অস্থির রাজনৈতিক সংকটের সর্বস্ব খুইয়ে ছিলেন কলকাতার কার্জন পার্কে ডা: প্রধান। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যাবসায়কে পাথেয় করে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন ডা: প্রধান।২০১৯ সালে ডা: অশোক কুমার প্রধান চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পি এইচ ডি উপাধি পান। হোমিও চিকিৎসায়পি এইচ ডি লাভ করেছেন রাজস্থানের থেকে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পেয়েছেন বহু সম্মান। সাহিত্যপ্রেমী ডা: প্রধান লিখেছেন হোমিও চিকিৎসার বেশকিছু গ্রন্থ ও প্রবন্ধে।
২০০১ সালে ইউনাইটেড কালচারাল কনভেনশন তাঁকে সমাজসেবা ও শান্তির জন্য নোবেল মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়।পিতা প্রয়াত পুলিনবিহারী প্রধানের নির্দেশে শেয়ার পুরস্কারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এই পুরষ্কার ২০০২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। ডা : প্রধান মনে করেন,পুরষ্কার তিরষ্কার কলঙ্ক কণ্ঠের হার।একদিন প্রতিদিন শিবজ্ঞানে জীবসেবার রামকৃষ্ণের বাণী শিরোধার্য করে ডা: প্রধান রোগী দেখেন কলকাতায় ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। অকৃতদার ডা: প্রধানের অভিভাবক তাঁর মা। যার সামর্থ আছে, তাঁদের কাছে নেন পারিশ্রমিক। যাঁরা সত্যিই সর্বহারা,তাঁদের কোনো খরচ করতে হয় না। রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে নিজেই আবিষ্কার করে পৌঁছে যান তাঁদের কাছে। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনমত সহায়তা করেন। চিকিৎসা করেন বিনা দক্ষিণায়।এমনকি ওষুধ দেন নিখরচায়। বছরের পর বছর চলের তাঁর এই শিবজ্ঞানে জীবসেবা।
এই আগস্ট মাসেই রামকৃষ্ণের তিরোধান দিবস। সম্প্রতি এই মাসেই রামকৃষ্ণের ভিটে কামারপুকুর আর সারদাদেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটির পুণ্যভূমিতে সদলবলে পৌঁছে যান বাংলার খ্যাতনামা হোমিও চিকিৎসক অশোক কুমার প্রধান। সঙ্গীর ছিলেন রামধন ঘোষ, অমিয় লাহিড়ী। ছিলেন প্রোথিতযশা প্রয়াত হোমিও চিকিৎসকের পুত্র তপন কাঞ্জিলাল ও তাঁর স্ত্রী।।সঙ্গে পর্যাপ্ত ওষুধের আর আর্থিকদূর্বল গ্রামীণ মায়েদের জন্য মশারি। ডা: অশোক কুমার প্রধানের এবারের সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্য তাঁর চিকিৎসক পিতৃসম শিক্ষক কিংবদন্তি হোমিও চিকিৎসক প্রয়াত জে এস কাঞ্জিলালের ১১৬ তম জন্মদিন পালন ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল মশারি বিতরণ ও হোমিও ওষুধ বিতরণ।প্রয়াত একশ প্রবীণাদের যেমন মশারি বিতরণ হয়, তেমন প্রায় ৬০০ রোগীকে নিখরচায় ওষুধ বিতরণ করেন ডা: অশোক কুমার প্রধান।
মঠ ও মিশনের কামারপুকুর শাখার প্রধান স্বামী লোকত্বরানন্দজী বলেন , সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য
আত্মনো মোক্ষার্থম জগদ্ধিতায় চ । অর্থাৎ মোক্ষলাভ ও জগতের কল্যাণ। ডা : অশোক কুমার প্রধান এটাই জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ধারাবাহিকভাবে নিরন্তন সেবা করে যাচ্ছেন। অন্যদের কাছে যা আদর্শ। অরিজিৎ মহারাজজী বলেন অশেষ ধৈর্য ও মানবিক বোধের প্রতীক ডা: অশোক কুমার প্রধান। প্রয়াত ডা: জে এস কাঞ্জিলালের জন্মদিনের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান হয় জয়রামবাটিতে। অনুষ্ঠানটির নিবেদক ডা: প্রধানের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা ইনস্টিটিউট অফ এইচ ওয়াই ডি টি রিচার্চ এন্ড এডুকেশন।