মোল্লা জসিমউদ্দিন, পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা বিট হাউস পুলিশ মাত্র দেড় মাসে যেভাবে অপরাধ দমনে নজির গড়েছে, তা জেলা পুলিশ মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, বীরভূমের বোলপুর থানা লাগোয়া গুসকরা বিট হাউস পুলিশ গত দেড় মাসে ১০ এর বেশি বেআইনী মদ সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছে। সেখানে ১০ জন ব্যক্তি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৫০০ লিটারের অধিক মদ উদ্ধার হয়েছে। অজয় নদের বালিলুট রুখতে ১০ টি চারচাকা বালির গাড়ি সহ ১৫ জন মত গ্রেপ্তার হয়েছে।সম্প্রতি স্থানীয় এলাকায় বেশ কয়েকটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে।সেখানে মন্দিরে অলংকার উদ্ধার সহ ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বিশেষত মেমারি,ভাতার,আউশগ্রাম প্রভৃতি থানা এলাকায় পিএইচই এর পাইপ, তার, ষ্টেবিলাইজার প্রভৃতি চুরির ঘটনা ঘটেছিল।এই বিধ ঘটনায় মেমারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুস্কৃতিদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পিএইচইর জিনিসপত্র উদ্ধার করে গুসকরা বিট হাউস পুলিশ। এক আন্তরাজ্য চক্র গুসকারা বাসস্ট্যান্ডে বয়স্ক মহিলাদের সোনার জিনিস হাতসাফাইয়ের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। বিশেষত বর্ধমানগামী বাসে মহিলা যাত্রীদেরকে ‘পকেটমার উঠেছে তাই সোনার জিনিস চুরি হয়ে যাবে, সাবধানে ব্যাগে রুমাল করে যত্নে রাখার পরামর্শে এই চুরির ঘটনাগুলি ঘটতো।পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার এক টিম এই অপারেশনে চালাতো এই এলাকায় । গুসকরা বিট হাউস পুলিশ এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে থাকে। এলাকাবাসীরা সু-নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েছেন। পথ দুর্ঘটনা রুখতে গুসকারার বিভিন্ন সড়কপথে গার্ডরেল, ড্রাম, রেডিয়ামের আলো লাগানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পথ নিরাপত্তার স্বার্থে হেলমেট বিলি এবং পথদুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলিতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছে গুসকরা বিট হাউস পুলিশ। আসাম ও বিহারের দুজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকদের বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দিয়ে মানবতার নজির গড়ারও সাফল্য রয়েছে । এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, তরুণ সাব ইন্সপেক্টর সৌরভ দত্ত এই বিট হাউসের ওসি পদে মাত্র দেড়মাস এসেছেন। তাতেই যেন অপরাধ দমনে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বীরভূমের বোলপুর এবং সংশ্লিষ্ট জেলার ভাতাড় – মঙ্গলকোট থানা সীমান্তবর্তী আউশগ্রাম থানার মধ্যে পড়ছে গুসকরা বিট হাউস। বোলপুর – বর্ধমানগামী সড়কপথে অপরাধ দমনে সদাজাগ্রত এই বিট হাউস পুলিশ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!