da9b6721-13e2-46bb-845a-d305e55a3ac2

ক্যান্সার মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। থ্যালাসেমিয়া মানেই মৃত্যুর প্রহর গোনা নয়। কীভাবে এই দুই সমস্যাকে জয় করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়, সেকথাই শোনালেন শতাধিক মানুষ। এঁদের কেউ রক্তের জটিল ক্যান্সারে আবার কেউ থ্যালাসেমিয়ার মতো জেনেটিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। রোগের কথা শোনার পরে অনেকেই বাঁচার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প দিনের চিকিৎসাতেই তাঁরা আশার আলো দেখে শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন সুস্থ জীবনে। এখন তাঁরা সমাজের মুল স্রোতে ফিরে সুস্থভাবে জীবন যাপন করছেন। এঁরা জীবনের রোগমুক্তির কথা শোনালেন এখনও যাঁরা সম্পূর্ণ আরোগ্যের অপেক্ষায়, তাঁদের। সকলেই সমবেত হয়েছিলেন শনিবার কলকাতার মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠিত উজ্জীবন পেশেন্ট সার্ভাইভার মিট ২০২৫ অনুষ্ঠানে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিকনিক গার্ডেন্স লীলা সেবা সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তারা জানান, ক্যান্সার বা থ্যালাসেমিয়ায় থেকে আরোগ্যলাভ শুধু যে সম্ভব তাই নয়, এইসব মারণ রোগের প্রকোপ থেকে বেরিয়ে আসার পর একেবারে স্বাভাবিক জীবনেও ফেরা যায়। কয়েক বছর ধরে উপযুক্ত চিকিৎসায় ক্যান্সার ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ড.সৌম্য ভট্টাচার্য। তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়ে কয়েকশো থ্যালাসেমিয়া ও ক্যান্সার জয়ী এসেছিলেন এই বার্ষিক মিলনোৎসবে। এখানে তাঁরা নিজেদের রোগমুক্তির কাহিনি তুলে ধরার পাশাপাশি যোগ দেন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। ড. সৌম্য ভট্টাচার্য বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে জটিল থেকে জটিলতর ক্যান্সার ও থ্যালাসেমিয়াকে যে সারিয়ে তোলা যায়, এঁরাই তার উদাহরণ।

About The Author


Enable Notifications OK No thanks
Verified by MonsterInsights