গোপাল বিশ্বাস ঃ-নদীয়া- আগামী ১৩ই মে দেশের বিভিন্ন জায়গার সাথে নদীয়ার কৃষ্ণ নগর ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বত্রই। আর নদীয়ার রানঘাট কেন্দ্রে এবারের লড়াইের ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল -বিজেপি ও সিপিএম। এই কেন্দ্রের একটা বড় অংশ যেমন রয়েছে মতুয়া ভোট, পাশাপাশি রাজ্যের একমাত্র বামেদের দখলে থাকা পৌরসভা, তাহেরপুর পৌরসভাও এই কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং এবারের নির্বাচনে একাধিক বিষয়ের দিকেই নজর রাখতে হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের। এরই সন্ধিক্ষণে এই তাহেরপুর এলাকায় রাতের অন্ধকারে সিপিএমের নির্বাচনী অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পরে রবিবার সকাল থেকেই। এলাকার CPIM-র দাবী তাহেরপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী মনোরঞ্জন পালের বাড়িতে একটি অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস করা হয়, শনিবার রাতে কেও বা কারা এই অফিসে তান্ডব চালায়, ভাঙচুর করাহয় সবকিছু, এমনকি দলীয় পতাকা, প্রার্থীর প্রচারের ব্যানার, ফেস্টুন, আসবাবপত্র, চেয়ার সহ সবকিছু তুলে নিয়ে সামনের রাস্তার মোড়ের মাথায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার খবর পেতেই একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দলীয় কর্মীরা পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী, সহ সরকারি আধিকারিক।
এদিন সকালেই CPM-র তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, CPM নেতৃত্ব জানায় এই জঘন্য কাজ সিপিএম বিরোধী, তৃণমূলের, দুস্কৃতিদের, আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই, পাশাপাশি তারা আরও বলেন তাহেরপুর বাসী শান্তির পক্ষে, তাই রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই তাহেরপুর পুরসভায় সিপিএমের জয় হয়েছিল, আর এই জয় সমগ্র এলাকা বাসীর জয়, ছিলো, এখানে সিংহ ভাগ মানুষই শান্তিপ্রিয়, কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা এই দুস্কৃতিকাজের সাথে যুক্ত। সিপিএমের তোলা সব অভিযোগ নস্যাৎ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব,পাশাপাশি সামগ্রিক ঘটনার নিন্দাও করে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল নেতৃত্ব জানায় আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে দল করি, আর তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ প্রশ্রয় দেয় না, যেই করে থাকুক প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে শাস্তি দেয়। পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগ থাকার সিপিএমের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলে শনিবার তাহেরপুর এলাকায় সিপিএমের একটি প্রচার র্যালি হয়,তাদের র্যালিতে তেমন লোকসমাগম ছিলোনা, পাশাপাশি তৃণমূলেরও একটি র্যালি হয়,সেখনে জনস্রোত ছিলো হয়তো এটা দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পরেছে সিপিএম, আর রাতের অন্ধকারে তারাই করেছে নাকি সন্দেহ আছে, কারন সিপিএম তো সব কিছুতেই তৃণমূলের ভুত দেখে, আসলে ওরা” দিনে বাম – রাতে রাম” ওরা অনেক কিছুই বলতে পারে। পাশাপাশি পুলিশ সুত্রে জানা যায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ একজনকে আটক করে। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বামেদের দখলে থাকা পৌরসভা এলাকায় সিপিএমের কার্যালয়ে এহেন ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু করেছে তা বলাই বাহুল্য।