ইন্দ্রজিৎ আইচঃ তথ্যচিত্র সত্য কথা বলে। মঙ্গলবার দীবা প্রডাকশন্স আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন বলেন, তথ্যচিত্র ও কাহিনি চিত্র দুটি খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। মনে রাখতে হবে কাহিনি চিত্রেও কিন্তু সত্য আছে। আমার পরিচালিত শুন্য থেকে শুরু ছবিতে তথ্যচিত্রের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অশোক বাবু বলেন, করোনার চেয়ে বড় ব্যাধী আমাদের আকড়ে ধরেছে। তার থেকে বেরুতে হবে। মানুষকে দলিত করার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আরও ভালো ছবি করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলচ্চিত্র তৈরির ক্ষেত্রে কোথাও থেকে কোনও চাপ নেই। আসলে এক শ্রেণীর শিল্পী ও পরিচালক ক্ষমতার কাছে পৌছাতে আগ্রহী। মতাদর্শ নেই তবুও আদর্শের নামে ছবি করছেন অনেকে। যেখানে মিথ্যাকে সত্য বলে চালানো হচ্ছে। তা করলে হবে না। দৃঢ়চেতা হতে হবে। এই দিনের ওয়েবিনার ছিল স্বাধীন ভারতে প্রথম বাঙালি মুসলিম মহিলা তথ্যচিত্র নির্মাতা ও তথ্যচিত্র নির্মান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাবিহা ইয়াসমিন এর স্মরণে। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, প্রযুক্তি আমাদের স্বাধীনতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মোবাইল ফোন দিয়েই এখন নিজের মত করে ছবি করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নিজের কথা ছবির মাধ্যমে বলা সহজ হয়েছে। প্রতীচি ট্রাস্টের গবেষক সাবির আহমেদ বলেন, এখন ফেক নিউজে ছেয়ে যাচ্ছে সমাজ মাধ্যম। মিথ্যাকে সত্য প্রতিপন্ন করার জন্য মূলধনের অভাব হচ্ছে না। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ তথ্যচিত্র নির্মাণে লগ্নি নেই। মার্কিন মুলুকের গবেষোক কাজি মিরাজুল ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য এখনও সঠি তথ্যচিত্র দিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তথ্যচিত্র নির্মাতা, পরিচালক কতটা সৎ তার উওপর তা নির্ভর করবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!