মৃন্ময় রায়,মেখলিগঞ্জ:মনে অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও ফ্যাক্টর নয়, তা আর একবার প্রমান করলেন মেখলিগঞ্জের এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকে সাফল্যের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে রানিরহাটের শৌলমারী হাইস্কুলের ছাত্রী মানসী রায়। তার বাড়ি রানিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জোটিয়ার বাড়ি এলাকায়। অতি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে ছোটো বেলা থেকেই তার দুটো হাত অচল হয়ে যায়। সে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। হাত অচল হয়ে পড়ায় দুঃচিন্তায় পড়ে পরিবার। কিন্তু মনে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও অদম্য জেদ নিয়ে সে নিজেকে তৈরি করতে থাকে। পরিবারের হতাশা কাটাতে পা দিয়ে লেখার অভ্যেস চালায় মানসী। এভাবে একসময় সে দিব্যি পা দিয়ে লিখতে সক্ষম হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখেই সে ভালো ফলে করে। তবে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ তাকে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিল। গত ৩ মার্চ থেকে মানসীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিনের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় সে এভাবেই পা দিয়ে লিখেছে। বাকি পরীক্ষাগুলোতেও লিখবে। এবছর মানসীর পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে উচলপুকুরি কৃষক উদ্যোগ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আর পাঁচজন পরীক্ষার্থীর মতোই সে পরীক্ষা দিতে আসে এবং পরীক্ষা হলে গিয়ে বসে।
মানসী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে ভবিষ্যতে একজন শিক্ষিকা হতে চান। বাবা রতন বর্মন এবং মা স্বপ্না বর্মন সর্বদা মানসীকে সাহস ভুগিয়ে আসছেন।
