বিশেষ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ইতিহাস


মালদা- রকমারি মুখরোচক রান্না আমাদের সকলের প্রিয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় রান্নার রেসিপি। একেক জায়গায় একেক অঞ্চলের মানুষের কাছে এক এক রকম এই রেসিপি। এর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে কোন বিশেষ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ইতিহাস যদি ধরা পড়ে তাহলে সে চেষ্টা অভিনব এবং ব্যতিক্রমী হতে বাধ্য। এমনই অভিনব একটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে মৈথিলী বড়াটক- একটি সাংস্কৃতিক পরিযানের গল্প। শীর্ষক এই ছোট বইটিতে মালদায় বসবাসকারী মৈথিল জনজাতির একটি ঘরোয়া রান্না কে অবলম্বন করে এই বিশেষ জনজাতির মাইগ্রেশন বা পরিযান এর ইতিবৃত্ত তুলে ধরা হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শান্তি ছেত্রী উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, খাদ্যের বিবর্তনের ইতিহাস থেকে জনজাতির বিবর্তনের ইতিহাসে এই জাতীয় গবেষণা এখানে প্রথম ।মালদা কলেজের অধ্যাপিকা দীপাঞ্জনা শর্মা গৌড় মহাবিদ্যালয় অধ্যাপক ঋষি ঘোষ এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বিভাগের কর্মী সৌমেন্দু রায় এই গবেষণাটি করেছেন। মালদায় বসবাসকারী মৈথিলিদের একটি জনপ্রিয় খাদ্য বড়ার টক। মিথিলাঞ্চলের নানা অংশ থেকে মাইগ্রেশন বা পরিযান এর ফলে মৈথিলরা যখন বাংলায় আসতে থাকেন। তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ের সঙ্গে এই রান্নাটি কেউ তারা নিয়ে আসেন সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই রান্না বিবর্তিত হতে হতে ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ভারতের নানা অংশে। সেখানেও বড়াকে একটি ভিন্ন চেহারা দেখা যায়। এইভাবে রান্না হয়ে ওঠে লোকসংস্কৃতির একটি অংশ এবং রান্নাকে নির্ভর করে তৈরি হয় লোকসংস্কৃতির ইতিহাস। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চেতনার সম্পাদক রবিন দাস, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী, কন্ট্রোলার ডক্টর বিশ্বরুপ সরকার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও উন্নয় আধিকারিক রাজীব পতিতুন্ডী, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর সাধন কুমার সাহা, একাউন্ট অফিসার রবীন্দ্রনাথ কর্মকার, লাইব্রেরী বিভাগের প্রধান প্রবীন কারকি সহ অন্যান্য কর্তা আধিকারিকেরা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


Verified by MonsterInsights