নবদ্বীপে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জমি রাতের অন্ধকারে দখলের অভিযোগ! অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে! কটাক্ষ বিজেপির…


গোপাল বিশ্বাস-নদীয়া- কথায় আছে কাক নাকি কাকের মাংস খায় না! কিন্তু নদীয়ার নবদ্বীপে এক জমি খলের অভিযোগ সামনে আসায় সেই লোককথাটিকেও কার্যত মিথ্যা প্রমান করে দিলো। নবদ্বীপ ব্লকের কানাইনগর এলাকায় তৃণমূল কর্মীসমর্থকদের জমি রাতের অন্ধকারে দখল ও তাতাে তৃণমূলের কার্যালয় করার অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে দলের ভাবমূর্তি পুনরায় মানুষের মনে ফিরিয়ে আনতে ও সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা প্রমান করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতি মধ্যে নিয়েছেন একাধিক পদক্ষেপ। বিভিন্ন মিটিং এ দলের নেতা মন্ত্রী থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক সকলকেই তুলোধুনো করতে শোনা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি রাজ্যে জলাশয় ভরাট ও জমি দখলের বিষয়েও কড়া হুশিয়ারী দিতেও দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের নেতা মন্ত্রী থেকে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের। আর এরই সন্ধিক্ষণে নবদ্বীপে জমি দখলের অভিযোগে উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নবদ্বীপ ব্লকের কানাইনগর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে সরব হলো তৃণমূলেরই একাংশ। আর এই অভিযোগ তুলে সরব হলো তৃণমূলের কর্মী দিপেন্দ্র নারায়ণ দে, সুভাস সুত্রধর, ইসার আলি শেখ। দিপেন্দ্র নারায়ণ দে জানান নবদ্বীপের এক ব্যাবসায়ীর থেকে আমরা জমিটি কিনি, বর্তমানে আমাদের দখলে আছে, পাশাপাশি তিনি আরও জানান এই জায়গাটি নিয়ে জমির মূল মালিকের সাথে আমাদের সাময়িক বিবাদ হয় যার ফলে এই জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, ও বর্তমানে এই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি আছে। আর আমাদের কাছে এই জমিটি কিনতে চেয়েছিলেন এলাকারই তৃণমূলের একাংশ দলীয় কার্যালয় করার জন্য, কিন্তু জমির যা দাম তা তারা দিতে রাজি না হওয়ায় আমরাও জমিটি বিক্রি করিনি, আর সেই কারণেই রাতের অন্ধকারে এই জমি দখল করেছে তৃণমূলের একাংশ। তিনি আরও জানান আমরাও সকলে তৃণমূল করি, আমার বাবা জোয়ানিয়া পঞ্চায়েতর সহ সভাপতি ছিলেন, আমার মা ছিলেন কৃষ্ণনগরের ১নং পঞ্চায়েতে জয়ী সদস্যা, কিন্তু এখন এরা তৃণমূলের কার্যালয়ে বলে আমাদেরই জমি দখল করেছে, আর এই বার্তা ছড়িয়ে পরলে এতে দলেরও ক্ষতি হবে। একই কথা বলেন সুভাস সুত্রধর, ইসার আলি শেখ, তারাও বলেন জমির সঠিক মূল্য না দেওয়ায় আমরাও জমি দিতে চাইনি তাই এরা রাতে দখল করেছে, তারা আরও জানান আমরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি, প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে দখল মুক্ত করবে জমিটি। আর ১৪৪ ধারা থাকা কালীন তৃণমূল কর্মীদের জমি তৃণমূলের দখল করার ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মন্ডল তিনের সাধারণ সম্পাদক প্রলয় ঘোষ জানান এতোদিন আমরা অভিযোগ করতাম বিজেপি কড়মীদের সহ সাধারণ মানুষের জমি,বাড়ি সম্পত্তি দখল করছে তৃণমূল, এখন তৃণমূল তৃণমূলের জমি দখল করছে, এটা তো হবারই ছিলো, এই দল রাজ্যে যতদিন থাকবে ততোদিন এমনভাবেই চলবে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রণজিৎ মন্ডলের দাবী এলাকায় একটা জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছে শুনেছি, দেখেওছি একটা জমিতে তৃণমূলের তরফে পতাকা টাঙানো রয়েছে, তবে যতটুকু আমি যানি যারা এই কাজটি করেছে তারা কেউ তৃণমূল না, তারা দলটাকে ব্যবহার করছে তারা আসলে প্রমোটার, পাশাপাশি তিনি আরও জানান আমিও চাই ঐ জমির আসল মালিক তিনি জমি ফিরে পাক, সাথে তিনি আরও দাবী করেন এতে দলেরও কিটা বদনাম হচ্ছে তা সত্যি। সব মিলিয়ে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দূর্নিতীর বিরুদ্ধে কড়া হতে দিচ্ছেন কড়া দাওয়াই সেখানে, দলের সর্বোময় নেতৃত্বকেও যে নবদ্বীপের তৃণমূলের নেতৃত্বরা থোরাই কেয়ার না করে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করতে চাইছে তা বলাই বাহুল্য।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights