করোনা, ওমিক্রন ও অকাল বর্ষণের কাঁটায় বিদ্ধ শীতের পুষ্প মেলা, বিষাদের সুর ফুল চাষিদের


গোপাল বিশ্বাস, নদীয়াঃ দ্বিতীয় লকডাউন হওয়ার পর ক্রমেই স্বাভাবিক ছন্দ ফিরছিলো জনজীবন। ওমিক্রণ সাথে তৃতীয় ঢেউ নতুন বছরে তেসরা জানুয়ারি থেকে আবারও নানান সরকারি স্বাস্থ্য বিধি এবং বিধি নিষেধে পুনরায় মানুষকে ঘরে ঢোকাতে উদ্যত হয়েছিলো। কিন্তু দৈনিক আক্রান্তর ভিত্তিতে আবারো সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পথে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রাজ্য সরকার কর্তৃক 50% এটা নিয়ে শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, সেলুন পার্লার জিম সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ম শিথিল করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুমতি মিলেছে বিবাহের অনুষ্ঠান, বিচিত্রা অনুষ্ঠান মেলা। জনসাধারণ কাঠের পুতুল হলেও প্রকৃতি মানে না কোন বাধা। সে চলে আপন খেয়ালে। বারে বারে অকালবর্ষণে বিভিন্ন আনাজ রবিশস্য মত চন্দ্রমল্লিকা, পম পম, গাঁদা, ডালিয়া সহ শীতের মরশুমের রংবাহারি ফুল গাছের অধিকাংশের মৃত্যু ঘটেছে। যারা লড়াইয়ে টিকে রয়েছে, তারাও শেষ মুহূর্তে সেজেগুজে গন্তব্য পুষ্প মেলায় না পৌঁছাতে পারার আক্ষেপে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে ছাদে রাখা টবেই। ফুলচাষীরা জানালেন আশ্বিন মাসে পুজোর সময় থেকে সন্তানসহ যত্ন এবং হাড়ভাঙা খাটুনির মূল্য পাওয়া যায় পুষ্প মেলায় স্থান পাওয়ার পর দর্শনার্থীদের চোখের ভাষায়। অনেকটা দেরিতে ঘোষিত হয়েছে, মেলা উদ্যোগীরাও এত অল্প সময়ে আয়োজন করতে পারবেন না, আর তাতেই বন্ধ রয়েছে নদীয়া চাকদহ কল্যাণী রানাঘাট শান্তিপুর কৃষ্ণনগর নানা জায়গার পুষ্প মেলা।ফুল চাষিদের ভারাক্রান্ত মন, অন্যদিকে মাঘের চড়া রোদ পড়তে শুরু করেছে, তাদের যাওয়ার সময় হয়েছে। এবারেও চন্দ্রমল্লিকা পমপম গাঁদা ডালিয়া রা একদিকে খুশি করতে পারলোনা মালিকদের, অন্যদিকে রং রূপ থাকা সত্বেও যেতে পারল না দর্শকের মাঝে স্বয়ংবর সভায়। বিগত 50 বছর ধরে ফুল চাষ করে আসা পেশায় শিক্ষক বিশ্ব মোহন প্রামানিক জানান, এত প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপেক্ষা করেও এ বছর বেশকিছু উৎকৃষ্টমানের ফুল করতে সম্ভব হয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আগামী বছরে ফুল চাষের আর উদ্দীপনা থাকবে না। অপর এক ফুল চাষী ভাস্কর লাহিড়ী জানান, বছরের মতন আয়োজন নাও হয়ে থাকে শুধু ফুল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা পৌরসভা করে ,তাহলেও আমার মতন অনেক উপকৃত হবে ।

About The Author


Verified by MonsterInsights