বিশ্বজিৎ নাথঃ চারদিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে পাড়ার পুকুর থেকেই উদ্ধার হল ছাত্রের মৃতদেহ। প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল খড়দার রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রমের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ১৫ বছরের আর্য দাস। তাঁর বাড়ি সোদপুর গান্ধীনগরে। এদিন সকালে বাড়ি সন্নিহিত একটি পুকুরে আর্যের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খড়দা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগারো বছর আগে মারা গিয়েছেন আর্যর বাবা। অভিযোগ, আর্যর বাবার মৃত্যুর পর বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতো জেঠু, জেঠিমা, পিসি-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এমনকি ওঁর মাকে মারধরও করা হতো। স্বভাবতই আর্যকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ উঠেছে তাঁর জেঠু, জেঠিমা, পিসি-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। মৃতের মা সোমা দাসের অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর জা এসে ছেলের সামনে উল্টোপাল্টা কথা বলে। ছেলে তা মেনে নিতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে। এদিন পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ফের আর্য’র মা-কে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আগন্তুক আর্যর পিসির মেয়ে রত্না প্রতিবেশী নাবালিকা জয়শ্রী মজুমদারের মুখে ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। জয়শ্রীর অভিযোগ, আর্যর জেঠু, পিসি ও পিসির মেয়ে এসে ওঁর মাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। প্রতিবাদ করলে আর্যর পিসির মেয়ে রত্না তার মুখে ঘুষি মারে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়দা থানার পুলিশ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!