অরিজিৎ মাইতিঃ করোনা অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ে যখন স্কুল- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে,আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা তা অনিশ্চিত তখন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাড়তি টাকা নেওয়া ও সরস্বতী পূজা না হওয়া সত্বেও এই বাবদ চাঁদা বাবদ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করার প্রতিবাদে ও স্বাধ্যবিধি মেনে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিনেশানের ব্যবস্থা করে স্কুল খোলার দাবীতে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের নিকট বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনে সামিল হল ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও ৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় যে, এই পরিস্থিতিতে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট-বাজার, অফিস, শপিং মল থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত কিছুই খোলা রয়েছে ৷ তাই,অতি দ্রুত ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কলেজ খোলার ব্যবস্থা করার কাজ সরকারকে করতে হবে; মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি এর এক পয়সাও বাড়তি ফি নেওয়া চলবে না এবং যে সমস্ত স্কুলে সরস্বতী পূজা হয়নি অথচ সরস্বতী পূজার চাঁদা নেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে ফেরৎ দিতে হবে৷ উপরোক্ত দাবিতে আজ ডিআই’র নিকট বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেয় এআইডিএসও’র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ৷ ডি আই’র অনুপস্থিতিতে ডেপুটেশন কপি গ্রহণ করেন মাননীয় এডিআই তিমির জানা৷ তিনি জানান,”অতিদ্রুত ডি আই’র সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷” সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন,”করোনা অতিমারির সংকটকালে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান দিনের পর দিন নিম্নগামী৷প্রবল অর্থনৈতিক সংকটে পরিবারগুলো ধুঁকছে৷ এমন পরিস্থিতিতেও অত্যন্ত অমানবিকভাবে স্কুল কতৃপক্ষ অনিশ্চিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরাীক্ষার ফর্ম ফিলাপের ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি কে উপেক্ষা করে শত শত টাকা লুঠ করছে ছাত্রদের কাছ থেকে৷ আমরা ডি.আই অফিসে লিখিত ভাবে স্কুল গুলির সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছি৷ প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷” আজকের কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি স্বপন জানা৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য শুভজিৎ অধিকারী, রাজকুমার মান্না, অনিরুদ্ধ মাইতি,বনশ্রী জানা প্রমুখরা৷
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!