তিলোত্তমাদের নিরাপত্তার জন্য ফ্রীতে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু করলো “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ”


আর.জি.কর. আবহে শেষ প্রায় তিন মাস ধরে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তাল ঠিক তখনই মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য ফ্রীতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ক্যারাটে অ্যাকাডেমিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করলো “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ”। মঞ্চের কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য আমরা সবাই ডাক্তার তিলোত্তমার বিচার চাইছি এবং নারী নিরাপত্তার পক্ষে কথা বলছি । কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শুধুমাত্র পরস্পরকে দোষারোপ না করে অর্থাৎ রাজনৈতিক রুটি না সেঁকে সব চেয়ে ভালো হয় বিষয়টিকে আমরা যদি একটি সামাজিক ব্যাধি মনে করে সবাই মিলে তা সমাধানের চেষ্টা করি । বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি এবং শুধুমাত্র পারস্পরিক দোষারোপ করা হলে কখনোই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় । কাজেই একদিকে আমরা যখন কোর্টে আইনী প্রক্রিয়ায় এবং জনতার আদালতে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় কেসটির পুনর্বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছি ঠিক তখনই আমরা স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন ক্যারাটে ক্লাবে মূলত মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য ফ্রীতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করলাম । আমাদের বিশ্বাস কোন গর্হিত অপরাধ আজ থেকে চৌত্রিশ বছর আগে হোক বা তিন মাসে আগে হোক নির্যাতিতার জাস্টিস পাওয়ার অধিকার অবশ্যই রয়েছে । ভারতবর্ষের যে কোন রাজ্যে শুধুমাত্র সমাজ ব্যবস্থাকে দোষারোপ করে রাজনীতি করার বদলে আমাদের নেওয়া পথ সবচেয়ে সঠিক অর্থাৎ আমরা বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করে মহিলাদের এমন ভাবে প্রশিক্ষিত করবো যে মেয়েরা নিজেরাই নিযুদ্ধ অর্থাৎ ক্যারাটের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই সুনিশ্চিত করতে পারবে এবং আক্রমণকারীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারবে । ইতিমধ্যেই আমরা কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি হেড কোয়ার্টারের কাছে চিঠি দিয়ে কলকাতা পুলিশের “তেজস্বিনী প্রজেক্টের” সাহায্যে সার্বিকভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছি । আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থা মিনিস্ট্রি অব ইউথ অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্পোর্টস এর অন্তর্ভুক্ত “নেহেরু যুব কেন্দ্রের” সাথেও যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু আমাদের রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তাই ওনার কাছেও মঞ্চের পক্ষ থেকে আবেদন করছি এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উনি যেন “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের” এই শুভ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন । মঞ্চের পক্ষ থেকে এই প্রজেক্টে ক্যারাটে প্রশিক্ষক হিসেবে হ্যান্সি বিজয় সাও, সেন্সি অ্যাডভোকেট পারিজাত দাস এবং সমাজসেবী হিসেবে অনামিকা মণ্ডলকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । আগামী দিনে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এবং হেঁতাল পারেখকে জাস্টিস দেওয়ার পাশাপাশি আমরা ফ্রীতে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে মেয়েদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা যাতে হেঁতাল পারেখ বা ডক্টর তিলোত্তমার মত আর কোন মেয়েকে যাতে আততায়ীর হাতে না প্রাণ দিতে হয় । কারণ দিনের শেষে আমাদের সবার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হওয়া উচিৎ সমাজে একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা এবং অপরাধহীন সমাজ ব্যবস্থা স্থাপন করা ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


Verified by MonsterInsights