মাদকের নেশায় উদ্বেগ নবাবের জেলায়


রাজেন্দ্র নাথ দত্ত:মুর্শিদাবাদ: নীলপাখি উড়ে এসে বসছে বিভিন্ন ‘ঠেকে,’ নীলপাখি ধরতে ফাঁদ পাতছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার শহর এলাকাগুলিতে ইদানীং ডানা মেলেছে নীলপাখি। নীলপাখির সঙ্গী হচ্ছে ‘রথের চাকা’, পিঙ্কি, চকলেট বা কখনও পাউডার। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে এমন সাঙ্কেতিক শব্দে মাদকের কারবার রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। শহর এলাকায় মাদক চক্রের ছড়িয়ে থাকা নতুন কোনও অভিযোগ নয়, তবে জেলায় যে ভাবে মাদকের নেশা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সর্বস্তরে। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল গাঁজা উদ্ধার হয়। নেশার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিপুল পরিমাণে নেশার ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়। অল্প পরিমাণে হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। মুর্শিদাবাদ বালিয়া প্রেরণা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বলেন, “স্কুলের প্রার্থনায় সচেতনতা করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজে নানা মাদক বিরোধী প্রচার চলছে।” পুলিশ সূত্রের দাবি, পুলিশের চোখে ধূলো দিতে কমবয়সীদের ‘হ্যান্ডলার’ বানিয়েছে মাদক কারবারীরা। অভিজাত এলাকায় কোনও বাড়িতে মাদক মজুত করা হচ্ছে যাতে পুলিশের সন্দেহ না হয়। সেখান থেকে মাদক কমবয়সীদের হাত দিয়ে পাঠানো হচ্ছে গ্রাহকের কাছে। হ্যান্ডলার কমিশন পাচ্ছে মাদক। সেই কমিশন পাওয়া মাদক কমবয়সী হ্যান্ডলাররা নিজেরা সেবন করছে এবং কিছুটা বিক্রি করছে।পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি বাড়বাড়ন্ত হয়েছে হেরোইনের। যার সাঙ্কেতিক নাম পাউডার বা চকোলেট। শহরের প্রাণকেন্দ্রে যুবক যুবতীদের ভরা আড্ডায় কার কাছে কতো চকোলেট বা পাউডার রয়েছে তা নিয়ে জোর তর্ক বা আলোচনা চলছে। হেরোইন ছাড়াও ব্যথার ওষুধ যা গর্ভধারণের যন্ত্রণা উপশমে দেওয়া হয় সেগুলিকেও মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধের পোশাকি নাম নীলপাখি। আক্রমনাত্মক বা অশান্ত মানসিক রোগীদের ঘুম পাড়াতে ব্যবহার হয় কড়া ডোজের গোলাকৃতি ওষুধ। গোলাকারের জন্য এই ওষুধের সাঙ্কেতিক নাম রথের চাকা অথবা চাকা। স্কুলের কয়েকজন সহপাঠিনীর সঙ্গে সেও নিয়মমিত বিভিন্ন জনকে মাদক পৌঁছে দিত, তার বিনিময়ে ‘কমিশন’ পেত মাদকই। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ভগবানগোলা থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভগবানগোলা থানার অন্তর্গত কালুখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজন ব্যক্তিকে আটক করে , এবং সেই ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে আনুমানিক ২৪ কেজি ৫০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে এবং পুলিশ উক্ত ব্যাক্তিদের কে গ্রেপ্তার করে। উক্ত ঘটনার ভিত্তিতে ভগবানগোলা থানায় একটি কেস রেজিষ্টার করা হয় এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


Verified by MonsterInsights