Opera Snapshot_2022-01-17_215836_web.whatsapp.com

বিশ্বজিৎ নাথঃ বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সদলবলে সোমবার বিকেলে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা খড়দা কেন্দ্রের বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এদিন হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর, জগদ্দল ও বীজপুর কেন্দ্রের বিধায়ক যথাক্রমে রাজ চক্রবর্তী, সোমনাথ শ্যাম ও সুবোধ অধিকারী। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ওই দলে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের জন্য ঠিকমতো সংগঠন করতে পারছিলাম। আমি জানতাম দলের সংগঠনে সভাপতিই শেষ কথা। কিন্তু ব্যারাকপুর জেলায় দেখলাম সাংসদই বিজেপির শেষ কথা। রবীন্দ্রনাথ বাবুর বক্তব্য, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল করবো। দল যা দ্বায়িত্ব দেবে, তা পালন করার চেষ্টা করবো। তবে রবীন্দ্রনাথ বাবুর দলত্যাগের ফলে ব্যারাকপুর জেলায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায়, ওনি এক বছর জেলার সাধারণ সম্পাদক ও এক বছর জেলা সভাপতি ছিলেন। ওনাকে দলে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওনি সংগঠনের কাজ একদমই করতে পারেননি। অকারণে ওনি সাংসদকে দোষারোপ করছেন। সন্দীপ বাবুর সংযোজন, রবীন্দ্রনাথ বাবু একজন দলবদলু নেতা। ওনার পদ চলে গেছে। তাই ওনি দল ছেড়ে দিলেন। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপির সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসন্ন পুরভোটে ওনি বুঝতে পারবেন ব্যারাকপুরে বিজেপি কতটা শক্তিশালী।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


Enable Notifications OK No thanks
Verified by MonsterInsights