প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে চন্দন যাত্রা উৎসব ঘিরে নদীয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের ভীর

Opera Snapshot_2022-05-12_013946_web.whatsapp.com

গোপাল বিশ্বাস -ঃ নদিয়া:- প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে নদীয়র মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের ভীড়। ইস্কন মন্দিরে বারো মাস কিছু না কিছু ধর্মিয় অনুষ্ঠান হয়েই থাকে। বর্তমানে এখন ইস্কন মায়াপুরে চলছে রাধামাধবের চন্দন যাত্রা উৎসব। আর এই উৎসবকে ঘিরে নদীয়ার মায়াপুর ইসকন পরিণত হলো মিলনমেলায়। জানা যায় পঞ্জিকা মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে শুরু হয়েছে চন্দন যাত্রা উৎসব।যা চলে টানা ২১ দিন। দূর-দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার দেশি ও বিদেশি ভক্তের সমাগম হয়েছে হয়েছে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের মানুষ রাধামাধবকে যেমন ভোগ দিচ্ছেন, তেমনই বিগ্রহকে কাঁধে তুলে নিয়ে আসছেন প্রভুপাদ সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে। সেখানেই নৌকাবিহার করেন রাধামাধব। বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত ঠিক সেই সময়ে এই চন্দন যাত্রা উৎসব মানুষের জীবনে শান্তি এবং স্বস্তি এনে দেয়। তাই চন্দন যাত্রা উৎসবে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের মানুষের ভিড়ে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে এই মায়াপুর ইসকন।
একযোগে সামিল হয়েছে দেশ-বিদেশ, ধনী-দরিদ্র সহ সমাজের সমস্ত স্তরের ভক্তরা। প্রতি দিন বিকেল হতেই ইসকনের প্রভুপাদ সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে নৌকাবিহার করানো হয় বিগ্রহকে। হরিনাম-সংকীর্তন সহ ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে রাধামাধবের বিগ্রহ ভক্তদের কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে। সেখানে সুসজ্জিত নৌকায় করে চলে বিহার। নৌকার মধ্যে হরিনাম-সংকীর্তন সহ আরতিও হয়। এরপর আবার বিগ্রহকে ভক্তরা কাঁধে করে ফিরিয়ে আনা হয় মূল মন্দিরে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে এই উৎসব। এই মনোরম দৃশ্যের সাক্ষী হতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও উপেক্ষা করে অসংখ্য ভক্ত এই চন্দন যাত্রা উৎসবে ইসকনে ভিড় করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

About The Author


You may have missed

Enable Notifications OK No thanks
Verified by MonsterInsights