গোপাল বিশ্বাস,নদীয়া:-“গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান” বর্তমানে শুধু একটা স্লোগানে পরিণত হয়েছে। আন্তরিকতা ছেড়ে এখন তা শুধু প্রচার এর বিষয়। অতীতে শান্তিপুরে বাগচীর বাগান চিন্তা গোঁসাইয়ের বাগান সহ বেশ কিছু বড় বড় বাগান কেটে সাফ করে উঠেছে কংক্রিট। তবে সে সময় সবুজ ধ্বংসের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল সায়েন্স ক্লাবের সদস্য ছাড়াও বেশকিছু সচেতন নাগরিক। কিছুদিন যাবৎ শান্তিপুরের অলিতে গলিতে গাছেদের মৃতদেহর খণ্ডাংশ বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে পৌঁছেছে গৃহস্থ বাড়ি পর্যন্ত। ছোটখাটো প্রাপ্তিযোগে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনেকেই। লরি ম্যাটাডোর করে গাছের গুড়ি মোটা ডাল নিয়ে অবাধ যাতায়াত চলছে প্রকাশ্যে দিনের আলোয়। গাছসহ জমি প্লট করে বিক্রি হচ্ছে কোথাও বা রাতের অন্ধকারে ইলেকট্রিক করাত এর আওয়াজ না পাওয়ার জন্য শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি শান্তিপুর তিন নম্বর রেল গেট সংলগ্ন এবং মাতালগড় এলাকায় এই রকমই একটি বাগানের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসলেও আরো বেশকিছু বাগানেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে গাছেদের প্রাণ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরপর দুদিন বনদপ্তর এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তর এর কর্মকর্তাগন পৌঁছেছেন সেখানে। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু এত কিছু হওয়া সত্বেও, প্রশাসনিক কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখনো শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে বনদপ্তর এর বিনা অনুমতিতে কাটা গাছ অপেক্ষায় রয়েছে চেরাই কলে অন্তিম পর্বে পৌঁছানোর প্রতীক্ষায় । আজ বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী ওই বাগান সন্নিহিত দুটি উন্নত রেপিয়ার মেশিনে উৎপাদিত স্কুল ইউনিফর্ম এর কাপড় তৈরি দেখতে গিয়ে, মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। বাগান কাটার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সংবাদ মাধ্যমে তিনি জেনেছেন, এ বাদেও শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা করা হয়েছে। বেশকিছু বাগানে গাছ কাটা এবং পুকুর ভরাট নিয়ে। তবে তিনি বলেন এলাকাবাসীরা এ বিষয়ে তাকে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। বাগানে আদৌ গাছ কাটা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, বহুদিন এই বাগানে আসা হয়নি তাই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।সাধারণ মানুষের মধ্যে গুঞ্জন, জমি মাফিয়াদের অর্থ এবং পেশী শক্তির কাছে দিন আনা দিন খাওয়া ছাপোষা মানুষ প্রাণভয়ে কিভাবে অভিযোগ জানাবে। সাইন্স ক্লাবও তো মানুষেরই প্রতিনিধি। জেলা প্রশাসন থেকে বিধায়ক এর কাছে এখনো কোনো নির্দেশ আসেনি বলেই জানান আমাদের।