অভি চক্রবর্তীঃ আর বেশিক্ষণ বাকি নেই। প্রস্তুতিও শেষের পথে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সবাই নিয়মানুবর্তিতার কথা বলেন, চর্চা করেন। আমরাও বড় সযত্নে সেই চর্চাকেই পাথেয় করে, গত দশদিন প্রায় বারো ঘন্টা করে খেটে…মঞ্চ আলো আবহ অভিনয় পোস্টার মেকিং টিকিট বিক্রি সব নিয়ে কাজ করে চলেছি। থিয়েটারের তো এসব নিয়েই কাজ করবার কথা ছিল। এসব কথা রাখতেই কাল দুপুর তিনটে থেকে জ্বলে উঠবে অমক আলোর আলো। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অমল যখন বিষন্ন বিকেলের দিকে তাকিয়ে দই আলার সঙ্গে কথা বলবে তখনই ক্রমাগত অসম বয়সী প্রেমে জড়িয়ে পড়বে তিস্তা ও সন্দীপ। ঢেউ ঝাঁপিয়ে পড়বে, সন্দীপ- তিস্তার মুখোমুখি প্রেমের মাঝে। প্রেম কী অভিশপ্ত? সম্পর্ক কী অভিশপ্ত? এই প্রশ্নে জেরবার হয়ে উঠবে রাজা অয়দিপাউসের হৃদয়। তিনি নিজের দৃষ্টি শেষ করে ফেলবেন- তার সন্মুখে তখন রাত্রি। সারারাত্তির। সেখানেও এক অদ্ভুত বৃদ্ধ সজাগ চোখে একলা জেগে আছে, সম্পর্কের তৃষ্ণা নিয়ে…সেখানে ঢুকে পড়ে এক তরুণ দম্পতি। কি হয় তারপর? সোফোক্লেস থেকে রবীন্দ্রনাথ হয়ে, বাদল সরকার, শম্ভু মিত্র এবং ব্রাত্য বসু উদ্বিগ্ন হয়ে হয়তো অপেক্ষা করে থাকবে কোনো এক নিঝুম সন্ধের জন্য…যেখানে একঝাঁক তরুণ সিসিফাস মুখোমুখি হবে তাদের? বলবে তাদের সংলাপ। হয়তো সামান্য অস্পষ্ট হবে তাদের উচ্চারণ, চোখের ভাষা হয়তো প্রকাশ পাবেনা ঠিকঠাক, পুরোপুরি সত্যে পৌঁছনোর জন্য তবুও ওরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এখন প্রত্যাশা আপনাদের আসবার। আগামীকাল দুপুর তিনটে। দেখা হচ্ছে অমল আলোয়।