ললিত গ্রেট ইষ্টার্ন হোটেলে আই সি সি ও টি ই আর আই ‘র ঐতিহাসিক মউ চুক্তি ও পরিস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ ললিত গ্রেট ইষ্টার্ন হোটেলে ভারতের অন্যতম শিল্পদ্যোগ সংস্থার সংগঠন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স ও গবেষণাধর্মী সংস্থা দি এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। আই সি সির চতুর্থ সামিট ও পুরস্কার বিতরণী সভায় টি ই আর আই-র সঙ্গে যে মউ চুক্তি স্বাক্ষর হলো তার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স অন সি এস আর অ্যান্ড সাস্টিবিলিটি। ভার্চুয়াল ভাষণে টি ই আর আই-এর পক্ষে সংস্থার বিভা ধাওয়ান মউ চুক্তির গুরুত্ব প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সম্বর্ধনা দেওয়া হলো কোলকাতার বৃটিশ ডেপুটি হাই কমিশনের পক্ষে নিকোলাস লো, কন্সুলেট জেনারেল অফ জাপানের কলকাতাস্থিত কনসাল জেনারেল নাকামুরা উতাকা, কলকাতাস্থিত অস্ট্রেলিয়ান কনস্যুলেট জেনারেলের কনসল জেনারেল রোয়ান অ্যানিস্ওরথ এবং প্যাটন গ্রুপের এম ডি ও আই সি সি র পূর্ববর্তী সভাপতি সঞ্জয় বুধিয়াকে । আই সি সি র স্থাপনা ১৯২৫সালে।বিখ্যাত শিল্পপতি জি ডি বিড়লার উদ্যোগেই দেশীয় উদ্যোগ পতিদের নিয়ে এই সংগঠন গড়ে ওঠে। সেই উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। সংগঠনের মূল কার্যালয় কলকাতায় হলেও সারা দেশের প্রায় অধিকাংশ শিল্পউদ্যোগীরা এই সংগঠনে জড়িত।ব্যবসার বিজ্ঞানসম্মত বিকাশ ও জনস্বার্থের দিকে নজর রেখেই সংগঠনের কর্মযজ্ঞ চলে।

দি এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটও একটি সংস্থা, যা সুনামের সঙ্গে রিসার্চ, পলিসি ও পরামর্শ দান করে প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কাজ করে থাকে । প্রায়১২ শ বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী পরিবেশবিদ, অথনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদের নিয়ে গড়ে ওঠা টি ই আর আই মূলত প্রচলিত বা অপ্রচলিত শক্তি , পরিবেশ ও আবহাওয়া বদলের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে একটি স্থায়ী রূপরেখা নির্মাণের কাজ করে থাকে। অত্যন্ত পেশাদারী যোগ্যতা নিয়ে এঁদের কাজ আজ দেশে শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে আব্যশিক হয়ে উঠেছে।

বিদেশি দূতাবাসের আমন্ত্রিত আধিকারিকরা বলেন,বিশ্বময় সংকটে একসাথে কাজ না করলে অর্থনৈতিক বা সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই ভারতের বন্ধুদেশ হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশ রক্ষার কাজে সংগঠনভাবে বা সংস্থাগত কাজে বেশ কিছুজনকে সাম্মানিক পুরস্কার ও অভিজ্ঞান পত্র দেওয়া হয়। আই সি সি র পক্ষে সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, আগামী ২০৭০সালের মধ্যে ভারতকে সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণ মুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের সহযোগিতায় যা সম্ভব। আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের তিনি ধন্যবাদ জানান। যারা যারা সমাজ সেবার জন্য পুরস্কৃত হলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রিযা কুমার, সুমন শর্মা, কৃতি মেনন, নবনীতা ব্যানার্জী, আরশাদ কুমার, সঞ্জীব গোয়েল, জ্যোতি গুপ্তা, গরিম টানডান, অনুরাধা গুপ্তা, অরুণ শা, সঞ্জীব কুমার সহ আরো অনেকে।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights