“জাগো গ্রাহক জাগো”


মালদা , ২ জুন। রাসায়নিক উপকরণ মিশিয়ে বাজারজাত কাঁচা আমকে তড়িঘড়ি না পাকানো হয় এবং প্যাকেটজাত আমের রপ্তানির ক্ষেত্রেও কার্বাইডের মতোন কোনরকম রাসায়নিক উপকরণ যাতে দেওয়া না হয়, সে ব্যাপারে তদারকি করলো মালদা ফুড সেফটি অফিসারেরা। বৃহস্পতিবার “জাগো গ্রাহক” নামক একটি কর্মসূচির মাধ্যমে মালদা শহরের নেতাজি পুরো মার্কেট, আম বাজার , মকদমপুর পুরো মার্কেট সহ একাধিক জায়গায় তদারকি চালান জেলা ফুড সেফটির কর্তারা । ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মূলত আম মার্কেটে এই অভিযান চালানো হয় । ফুড সেফটি কর্তারা আম ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চাষীদের সঙ্গেও এই ব্যাপারে কথা বলেন।
এদিন তদন্তকারী ফুড সেফটি কর্তারা জানিয়েছেন, তড়িঘড়ি আমকে পাকানোর জন্য অনেকে কার্বাইড ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ধরনের রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার করলে আমের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি আম প্যাকেটজাত করে রপ্তানির ক্ষেত্রেও এই ধরনের রাসায়নিক উপকরণ মেশানোর প্রবণতা অনেক ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এতে স্বাদে-গুনে নষ্ট হয়ে যাবে মালদার আম । এমনকি কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম মানুষের শরীরের পক্ষে অনেকটা ক্ষতিকর হয়, সেই সম্পর্কে সচেতন করতে এদিন মালদা শহরের বিভিন্ন বাজারগুলিতে গিয়ে আম ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে এই ধরনের সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । যদিও এদিন অভিযান চালানোর সময় কার্বাইড মেশানো আম নজরে পড়েনি ফুড সেফটি কর্তাদের। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অভিযানকারী কর্তারা।
মালদা জেলা আম ও ফল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নব নব সাহা জানিয়েছেন, এদিন ফুড সেফটি অফিসারেরা আম বাজারে এসে তদারকি করেছেন। কার্বাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রচার চালিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আম প্যাকেট জাত করা হয় এবং সেগুলো বিক্রি এবং রপ্তানি করা হয় । এব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের জানিয়েছি। রাসায়নিক উপকরণ কোথাও কোনো রকম ভাবে মেশানো হয় না । যদিও এদিন ফুড সেফটি কর্তাদের এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে জেলা আম ও ফল ব্যবসায়ী সমিতি।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights