নবদ্বীপে এসে কী বললেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতি মন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল?


গোপাল বিশ্বাস,নদীয়া-ঃ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে নদীয়া জেলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতি মন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এদিনের সফরের প্রথম থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নবদ্বীপ।  শনিবার  সকালে নবদ্বীপ ব্লকের স্বরূপগঞ্জ ঘাটে মকর সংক্রান্তির পবিত্রস্নান উপলক্ষে নবদ্বীপের গঙ্গার ঘাটে আরতি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । এদিনের এই গঙ্গা আরতি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অপর্ণা নন্দী, বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য সিদ্ধার্থ শংকর নস্কর,  জেলার একাধিক নেতৃত্ব সহ ZP25 ব্লকের বিভিন্ন পদাধিকারী নেতৃত্ব ও অসংখ্য কর্মী সমর্থক।
গঙ্গা আরতির পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্যে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজে তৃণমূলের তোলা কেন্দ্রের বঞ্চনার সকল অভিযোগ একেবারে নস্যাৎ করে বলেন, আবাস যোজনায় কাকে ঘর দেবে কাকে বাদ দেবে সবটাই রাজ্যের বিষয়। এখানে কেন্দ্রের কোন ভূমিকা নেই। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব গোটা ভারত বর্ষে প্রতিটি রাজ্যকে একটা টার্গেট দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও দেওয়া হয়েছিল, ১১ লক্ষ্য ঘরের। রাজ্য সরকারের তরফে অনলাইনে যা মোট আ্যপ্লিকেশন করেছে তার মধ্যে বাদ দিয়ে ৩৯ লক্ষ্য দাড়িয়েছে, আর কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে ১১ লক্ষ্য ঘর করার টার্গেট দিয়েছে।
কাকে বাদ দেবে, কাকে ঘর দেবে সবটাই রাজ্য সরকারের বিষয়,  তবে তিনি আরও বলেন আমি গত দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখলাম, নিল সাদা দিয়ে রং করা বাড়ি, যেখানে ছোট করে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা, পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ঘর নিয়ে এখানে মানুষের যে ক্ষোভ আছে তা আমি যথেষ্ট লক্ষ্য করেছি। এছাড়াও এদিন তিনি রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে পশ্চিম বঙ্গকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তারপর ২০১৪ সালে বিজেপির সরকার হয়েছে। তার পরথেকে এত দিন ৫৪ হাজার কোটি টাকা পশ্চিম বঙ্গকে দিয়েছে কেন্দ্র।  কিন্তু এখানে কিছু অভিযোগ আসে, এবং দেখা যায়  কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, খরচ করেনি রাজ্য তাই কিছু টা সমস্যা, হয়েছে,  তবে ১০০ দিনের কাজের টাকা পায়নি এটা কেও বলতে পারবে না। এরি সাথে তিনি কংগ্রেসের , ভারত জোড়ো, যাত্রা কে কটাক্ষ করে বলেন “ভারত জোড়ার আগে কংগ্রেসকে জোড় যাত্রা করার উচিত।  তিনি বলেন ১৯৪৭ সালে ভারত ভেঙেছে কংগ্রেস। আর এখন সেই দোষ জোড় করে বিজেপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এদিন এই এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসায় এলাকা জুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights