শ্যামল করঃ সমগ্র দেশে মহাসমারোহের সাথে পালিত হ’ল মহামানব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-র ১২৫তম জন্ম দিবস। আর এই জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে দেশনায়ক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল পথিকৃত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-র অনুগামী ডাঃ নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস। আজীবন স্মরণ করে চলেছেন এই দেশনায়ককে।
অবিবাহিত ৭৭ বছর বয়সী রাজ্য সরকারের পেনশন প্রাপ্ত বর্ষীয়ান নিতাই বাবু তাঁরই স্মৃতি চারণ করে চলেছেন দীর্ঘ বছর। ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজগৃহে মালা (ফুলের) দিয়ে সাজিয়ে তোলেন নেতাজী সুভাষকে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাঁর এই সুন্দর সানসীকতা ও উৎসবের কথা। তিনি কিন্তু কোনও প্রচার একদমই পছন্দ করেন না। নীরবে করে চলেন সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম তিথি। কিন্তু উন্নত বিজ্ঞানের যুগে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদকগণ তাঁর এই মহান উদারতার কথা জানতে পারেন ও সম্প্রচার শুরু হোতে থাকে ২০১২ সাল থেকে। কি করেন তিনি কেন এই উৎসব জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “স্কুল জীবন থেকেই বাবা ও মায়ের কাছে নেতাজী সুভাষ ও স্বামী বিবেকানন্দ প্রসঙ্গে গল্প শুনতাম। পরে বড় হয়ে তাঁদের জীবনী পড়ি। নেতাজীর আদর্শ ও প্রেরণা খুবই ভালো লাগে। তারপর থেকে আমার খুবই ভালো লাগে তাঁদের আদর্শ; আর এই সমাজের নেতাজীই সেই ব্যক্তি। অনেক গল্প ও সংবাদ শুনেছি তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে। কিন্তু তিনি যে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নি সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। রাজনৈতিক স্বরযন্ত্রে স্বীকার তিনি। আমি তাঁর অনুগামী ও তাঁর আদর্শে বিশ্বাসী, আমি বিশ্বাস করি তিনি আজও জীবিত কেনান, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী জী যদি ১৬০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন তবে তিনিও কেন পারনে না?? আমার বিশ্বাস তিনি আজও জীবিত। তাই তাঁকে স্মরণ করা হয়। “তিনি সুস্থ্য থাকুন ও ভালো থাকুন এবং আবার স্বশরীরে ফিরে আসুন আমাদের মাঝে”।
সকাল থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ভক্তিমূলক সঙ্গীত শঙ্খধ্বনী, হোম, যজ্ঞ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চরণ ও বিশ্বশান্তি যোগ্য। পুরোহিত দ্বয়ের পবিত্র বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে চারিদিক মুখোরিত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন দিক থেকে বহু নেতাজী অনুগামীগণ আসেন তাঁর গৃহে। সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ডাক্তার, গবেষক, অধ্যাপক, শিক্ষক, অভিনেতা থেকে কেহই বাকী থাকেন না। দুপুরে সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। সন্ধ্যায় আরতী, ১২৬টি মোম প্রজ্বোলন করা হয়। চলে ভক্তিমূলক সঙ্গীত ও কবিতা আর ৫ মিনিট মৈৗনব্রত পালন।
নিতাইবাবুর নিকট আত্মীয় ভাইপোদের ও তাঁদের পরিবারের সকলের ঐকান্তিক পরিষেবা লক্ষণীয়। উপস্তিতিদের মধ্যে ডঃ বিজয় কেতন মুখার্জী, মিসেস সাহানা বসু, মিসেস সানিয়া সিং, অংশুমান গাঙ্গুলী (গবেষক), রামার্জুন সেন, বাবলু রায়, রিষিকেস সাহা (নেতাজী অনুগামী), রুদ্র প্রকাশ ধর, সম্পাদক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় বণিক, চিত্র সাংবাদিক, মাণিক লাল গুহ, সম্পাদক বেঙ্গল এক্সপ্রেস, রুদ্র প্রকাশ ধর, অনির্বাণ বসু, সর্বেশ্বর চক্রবর্ত্তী ও পার্থ ব্যানার্জী (পুরোহিত দ্বয়) প্রমুখ।