ক্লিকে মিল্কি ওয়ে ফিল্মসের প্রযোজনায় আগামী ২১ এ ফেব্রুয়ারি সোমবার ক্লিক এর ওটিটি প্লাটফর্ম এ মুক্তি পাবে নতুন ছবি “শব চরিত্র “


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ সম্প্রতি ক্লিক এর অফিসে
তাদের নতুন ছবি শব চরিত্রর এক সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেলো। পাশাপাশি এই ছবির ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেলো। ছবির পরিচালক দেবাশীষ সেনশর্মা জানালেন ” শব চরিত্র ” মুক্তি পাবে ভাষা দিবসের দিন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার। গল্পটি সংক্ষেপে হলো বছর পঁয়তাল্লিশের লেখক অবিনাশের গল্প আর বিক্রি হচ্ছে না তাই পাবলিশারের চাপে পড়ে আসে পাশের জীবন্ত মানুষের জীবনে গোয়েন্দার মতো উঁকি ঝুঁকি মেরে নিজের গল্প খোঁজে, যা থেকে সিনেমা বা নিতান্ত একটা ওয়েব সিরিস হতে পারে। ঘরের অত্যন্ত সাধারণ আটপৌরে বউ ছেলের সংসার আর বিবাহিত প্রেমিকার নিষিদ্ধ প্রেমের ওমই অবিনাশের রুটিন জীবন। চায়ের দোকানে দেখা হয়ে যাওয়া পৃথিবীর অঙ্ক না মেলাতে পাড়া অঙ্কের মাস্টার কালুচরণ নাগ যখন ছেলের অঙ্কের মাস্টার হয়ে আসে তখন অবিনাশের গল্প হাতের মুঠোয় মনে হয়। কিন্তু অঙ্কের মাস্টার সব অঙ্কের হিসেব গুলিয়ে দিয়ে কিসের একটা গোপন ইঙ্গিত দেয় অবিনাশকে? গল্পের গন্ধ পায় অবিনাশ। কিন্তু গল্প এগোতে না এগোতেই একদিন হটাৎ করে অঙ্কের মাস্টার মারা যায় আর সেখানে উপস্থিত অবিনাশ পুলিশের নেক নজরে পড়ে যায়। অলিএন্ডারের বিষ পাওয়া যায় মাস্টারের শরীরে। পুলিশ ইনস্পেক্টর দেবব্রত তদন্ত শুরু করে।

হটাৎ করেই সেঁজুতির দেখা পায় অবিনাশ। ওষুধের দোকানে জোরে জোরে দু প্যাকেটের অডার দিতে দেখে, ইন্টারেস্টিং গল্পের গন্ধে ওর পিছু নেয়। জানতে পারে সেঁজুতি আর আনোয়ারের গল্প। কিন্তু ওর গল্প শেষের আগেই সেঁজুতি আত্মহত্যা করে। পুলিসের জেরায় বিধ্বস্ত অবিনাশ সাংবাদিক বন্ধু সৈকতের কাছে মদ খেয়ে কনফেস করে ওর এই বিচিত্র ক্ষমতা। সৈকত নিউস চ্যানেলের স্কুপ করে দেয় খবরটা। মিডিয়া ধাওয়া করে অবিনাশকে।

প্রেমিকার কথায় এক সাইক্যাট্রিস্ট মৃণালিনীর কাছে যায়, যে বুদ্ধি দেয়, যখন এরকম সন্দেহ হচ্ছে অবিনাশের মনে তখন ও মৃত চরিত্রদের নিয়ে লিখুক, তাহলে তো আর তারা মারা যেতে পারবে না।

দ্রৌপদিকে নিয়ে লিখতে শুরু করে অবিনাশ। পুলিশের বাঁধন আরও শক্ত হয় অবিনাশের গলায়। সৈকতের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে মৃণালিনীকে জীবন্ত দ্রৌপদি হিসাবে চিনতে পেরে চমকে যায় অবিনাশ। ভীত হয়ে ওঠে। মিডিয়ার আলো থেকে পালাতে চায়। প্রেমিকার কাছে উগ্রে দেয় টেনশন। ওর ভয় এবার মৃণালিনীর পালা। প্রেমিকার পরামর্শে মৃণালিনীর সম্মতিতে ওকে কিডন্যাপ করে রেখে দেয়, ওকে বাঁচানোর জন্য। মাত্র ৭২ ঘণ্টা রাখতে পারলেই নিশ্চিন্ত। খুন হয়ে যায় মৃণালিনী। ফেঁসে যায় অবিনাশ পুলিশের জালে। তারপর?
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন
অবিনাশ অনির্বাণ চক্রবর্তী
দেবব্রত যুধাজিৎ সরকার
সীমা(অবিনাশের স্ত্রী) অঙ্কিতা মাঝি
কে. সি. নাগ(অঙ্ক শিক্ষক) পরান বন্দ্যোপাধ্যায়
(বিশেষ চরিত্র)
মৃণালিনী (সাইক্যাট্রিস্ট) ইমন চক্রবর্তি
সৈকত (অবিনাশের বন্ধু) রানা বসু ঠাকুর
তুলিকা (অবিনাশের প্রেমিকা) পায়েল রায়
অন্যান্য চরিত্রে আছেন
দুর্বার শর্মা, পলাশ হক, দেবরাজ ভট্টাচার্য, অবিন দত্ত মন্ডল, শৈলী ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য। কুশলী কাহিনী বলাকা ঘোষ ও দেবাশিস সেন শর্মা চিত্রগ্রহণ অম্লান সাহা
শব্দ বিন্যাস সায়ান্তন ঘোষ
সম্পাদনা কৌস্তভ সরকার
পোশাক মেঘা চক্রবর্তী
চিত্রনাট্য আদার ব্যাপারি,
দেবাশিস সেন শর্মা
ছবিটা পরিচালনা করেছেন দেবাশিস সেন শর্মা।সাংবাদিক সম্মেলনে সকল কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights