ইন্দ্রজিৎ আইচঃ পয়লা বৈশাখ ও অক্ষয় তৃতীয়াকে সামনে রেখে গত ১লা মে থেকে ১০ ই মে এই দশ দিন ধরে বাগুইহাটি জোড়া মন্দির এর কাছে অনুষ্ঠিত হলো এই প্রথম বাঙালিয়ানা ২০২২। এই মেলা প্রতিদিন বিকেল ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলেছিলো। নাচে গানে ১৬ আনা বাংলা সংস্কৃতি যাপন এই মেলার মূল উদ্দেশ্য। এই মেলার মূল উদ্যোগতা ছিলেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক ও সংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সী। বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড-এর পৌরমাতা জয়শ্রী বাগুই এবং ওয়ার্ড সচিব সন্দীপ (গোপাল) বাগুই। এই মেলায় ৮৬ টি স্টল হয়েছিলো। বিভিন্ন নামিদামি সোনার দোকান , মিষ্টির দোকান ,খাবারের দোকান, বই প্রকাশক থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠির বহু মানুষ এই মেলায় স্টল দিয়েছিলো। বিভিন্ন জেলার কুটির শিল্প যেমন মাদুর, বড়ি, ঘর সাজানোর জন্য উপকরণ, বিভিন্ন বুটিক, জামা কাপড়, থেকে হাতের কাজের দরকারি জিনিস পত্র, বাসন, মহিলাদের সাজার জিনিস , ফটো এলবাম ইত্যাদি সব জিনিস পত্র সুলভ মূল্যে কেনা বেচা হয়েছে। এই মেলার সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে রাজারহাট গোপালপুর এর বিধায়ক ও সংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সী জানালেন গত দু বছর করোণার কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলো। শুধুতাই নয় আমাদের যত সংগীত শিল্পী বা বাদ্য যন্ত্রীরা আছেন তাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে সকলের কথা মাথায় রেখে এলাকার মানুষের কিছুটা মনোরঞ্জন করার জন্য আমার এই উদ্যোগ। এই মেলাটা অনেকটাই শান্তিনিকেতনের সোনা ঝুড়ির মেলার মতন হয়েছিলো। প্রতিদিন মেলার মঞ্চে নাচ, গান, আবৃত্তি, গীতি নাট্য, শ্রুতি নাটক থেকে গীতি আলেখ্য সব কিছু অনুষ্ঠিত হয়। দারুন সারা পেয়েছি এই প্রথম বার এই দশ দিনের মেলায়। সকল স্বনির্ভর ব্যবসা দাররা কিছুটা লাভের মুখ দেখেছে। আমরা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তাদের স্টল, থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এক কথায় এই মেলা এই প্রথম বার সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হলো এবং অনেকের আশা ভরসা এটাই যে এখানে সামনে বছর ও প্রতি বছর এই মেলা যেন হয়।এলাকাবাসীর ও ব্যাবসায়ী দের তেমন ই ইচ্ছা। কারণ এর আগে এই একই জায়গায় বই মেলা, খাদ্য মেলা খুব সাফল্য পেয়েছিলো। তাই নবতম এই উদ্যোগ এক কথায় সফল। ছোট থেকে বড় সকলেই এই দশ দিন খুব আনন্দ করেছে। এখানেই এই মেলার সার্থকথা এবং সাফল্য এইটুকু বলা যায়।