অনুষ্ঠিত হলো রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার রবীন্দ্র জয়ন্তী


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ বিপুল সমারহ ও উদ্দীপনায় গত ১৪ মে ২০২২ শেষ হলো রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার কবিপ্রণাম অনুষ্ঠান যা গোবরডাঙ্গা রঙ্গ মহোৎসবের একটি অংশ। ৯ই মে ২০২২, ২৫ শে বৈশাখ কবিগুরুর জন্মদিনে ও রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, প্রাকৃতিক দু্যোগের কারণে তা পিছিয়ে ১৪ই মে করা হয়। “আপন মনের মাধুরী মিশায়ে” অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বিশিষ্ঠ সেতার শিল্পী অয়ন বসু, তবলা সংগতে বিশ্বজিৎ সরকার, ভাষ্যে বাচিক শিল্পী রাই বসু।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপ্রধান শংকর দত্ত, প্রাক্তন পৌর প্রধান সুভাষ দত্ত, কাউন্সিলর রত্না চৌধুরী, সবিত দাস, বাসন্তী ভৌমিক, সুভাষ মিত্র, বাসুদেব কুন্ডু, মৃত্যুঞ্জয় সরকার, ভবতোষ সরকার, সাংবাদিক নিরেশ ভৌমিক, রাসমোহন দত্ত, পাঁচু গোপাল হাজরা, অনন্ত চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট জনেরা। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করে বক্তব্য রাখেন পৌরপ্রধন শংকর দত্ত, প্রাক্তন পৌরপ্রধান সুভাষ দত্ত, সহ সকল কাউন্সিলর বৃন্দ। পৌরপ্রধান শংকর দত্ত বলেন “রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা ২৭ বছর ধরে ছোটদের নিয়ে নাটক ও সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছে যা গোবরডাঙ্গার গর্ব, তিনি আরও বলেন গোবরডাঙ্গার অনেক সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকেও রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা ছাপিয়ে গেছে।” প্রাক্তন পৌরপ্রধান সুভাষ দত্ত সহ অন্যান্য কাউন্সিলর বৃন্দ রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষথেকে একটি “কবিপ্রণাম” নামক স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়, প্রকাশ করেন পৌরপ্রধান শংকর দত্ত।শুরু হয় নৃত্যানুষ্ঠান “নৃত্যের তালে তালে” পরিবেশন করেন ‘ঠাকুর নগর বর্ণমালা’ পরিচালনা তন্ময় মণ্ডল। রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার নিজস্ব অনুষ্ঠান “হে নূতন” , আবৃত্তি পরিবেশন করে আইভী সান্যাল, আলোকবর্তিকা ভট্টাচার্য। “হে নূতন দেখা দিক আরবার” গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে স্মৃতি চক্রবর্তী, খালি গলায় সংগীতটি পরিবেশন করে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাস্য কৌতুক নাটক ‘ভাব ও অভাব’ প্রযোজনা রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা গোবরডাঙ্গা, পরিচালনা বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, অভিনয়ে সমরেশ মল্লিক, দেবাশিষ বিশ্বাস ও দিব্যেন্দু মণ্ডল। পরবর্তী অনষ্ঠান “কথায় গানে কবি প্রণাম” সঙ্গীত পরিবেশনে শিল্পী সেন, সঙ্গতে বিশিষ্ট তবলা বাদক সোমনাথ মন্ডল, ভাষ্যে অজানা বসু। “কবিতাঞ্জলি” পরিবেশন করে ‘প্রভাতী আবৃত্তি পরিষদ’, পরিচালনা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সুবীর চট্টোপাধ্যায়। সর্বশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় মূকাভিনয় “বেঁচেথাকার লড়াই” পরিবেশনে ‘ঠাকুর নগর মাইম একাডেমী’ পরিচালনা চন্দ্রকান্ত শিরালি। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল গুণীজন ও শিল্পীদের উত্তরীয় ও স্মরাক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে উল্লেখযোগ্য ছিল পাঁচশত কাচিচকাঁচার “ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা” ও রকমারি দ্রব্যের “ইচ্ছা পূরণ হাট” যা অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রা এনে দেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights